Dhaka ০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“কিশোরগঞ্জে পোল্ট্রি ফার্ম করে স্বাবলম্বী চাচা- ভাতিজা”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • ১০২৪ Time View
“কিশোরগঞ্জে পোল্ট্রি ফার্ম করে স্বাবলম্বী চাচা- ভাতিজা”
রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ রংপুরঃ
কিশোরগঞ্জে পোল্টিফার্ম করে চাচা- ভাতিজা নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন। নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গদা দক্ষিণ পাড়ার মোঃ আব্দুর রহিম ও তার চাচা মোঃ হাবিবুর রহমান পড়ালেখার পাশাপাশি করোনার মহামারীর সময় একটি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। ২০২০ সালে ২০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন হাঁসের খামার। পোল্ট্রি খামার দেখাশোনা ও ঔষধপত্র দেয়া সবই নিজ হাতে করেন চাচা- ভাতিজা। চাচা হাবিবুর রহমান ডিগ্রী ২ বর্ষের ছাত্র, ভাতিজা আব্দুর রহিম ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ। প্রথমে তারা সীমিত লাভে হাঁসগুলো বিক্রি করে দেন। তারপর পার্শ্ববর্তী তপন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক তপনের পরামর্শে চাচা- ভাতিজা মিলে চালু করেন বয়লার ফার্ম। প্রতি ১ মাসে ৬০০ শত মুরগীর বাচ্চা পালন করতে মোট ৬০/৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ৩০-৩৫ দিনে মুরগী খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় পাইকারী ১৩০/১৩৫/- টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করে দেন। এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন। ১২ মাসে গড়ে প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা লাভের মুখ দেখেন। পরে তারা উপজেলা পর্যায়ে দুইটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে মোট তিনটি বয়লার ফার্মে বর্ধিত করেন।
হাবিবুর বলেন, কৃষি কাজ ও হাঁস-মুরগি পালন অত্যন্ত ভালো লাগতো। তাই মহামারী করোনায় দীর্ঘ সময় কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় প্রথমে ভাতিজা আঃ রহিমকে নিয়ে হাঁস পরে বয়লার খামার গড়ে তুলি। পরে খামার আরও বড় করি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেনারী সার্জনের সহযোগিতায় ও পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ছাড়াই বয়লার খামার পরিচালনা করে আসছি। এ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় একাধিক মুরগির ফার্ম রয়েছে। বেকার যুবকরা এমন পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলে স্বাবলম্বী হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলেছেন। তারা চাকুরীর পিছনে না ছুঁটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বয়লার ফার্ম করে এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।তবে অভিযোগ উঠেছে পোল্ট্রি ফার্মের মুরগির খাবারসহ যাবতীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় তারা হিমশিমে পড়েছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খামারীরা। কিশোরগঞ্জ প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যের দাম বেশী ও প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতার অভাবে এ উপজেলার প্রায় বেশ কয়েকটি মুরগীর খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেনারী সার্জন ডা: মোঃ নাহিদ সুলতান বলেন, চাচা-ভাতিজা আঃ রহিম ও হাবিবুর রহমান লেখাপড়ার পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক মুক্ত হাঁস-মুরগির খামার করে তারা আদর্শ খামারি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভের পাশাপাশি মাংসের চাহিদা পূরণ করে জাতীয় পর্যায়েও অবদান রেখে চলছেন।
          মোঃ রউফুল আলম
          তারিখঃ ২২/১০/২২
          ০১৭৭৪৪০৭৬৬৬
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“কিশোরগঞ্জে পোল্ট্রি ফার্ম করে স্বাবলম্বী চাচা- ভাতিজা”

Update Time : ০৬:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
“কিশোরগঞ্জে পোল্ট্রি ফার্ম করে স্বাবলম্বী চাচা- ভাতিজা”
রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ রংপুরঃ
কিশোরগঞ্জে পোল্টিফার্ম করে চাচা- ভাতিজা নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন। নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গদা দক্ষিণ পাড়ার মোঃ আব্দুর রহিম ও তার চাচা মোঃ হাবিবুর রহমান পড়ালেখার পাশাপাশি করোনার মহামারীর সময় একটি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। ২০২০ সালে ২০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন হাঁসের খামার। পোল্ট্রি খামার দেখাশোনা ও ঔষধপত্র দেয়া সবই নিজ হাতে করেন চাচা- ভাতিজা। চাচা হাবিবুর রহমান ডিগ্রী ২ বর্ষের ছাত্র, ভাতিজা আব্দুর রহিম ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ। প্রথমে তারা সীমিত লাভে হাঁসগুলো বিক্রি করে দেন। তারপর পার্শ্ববর্তী তপন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক তপনের পরামর্শে চাচা- ভাতিজা মিলে চালু করেন বয়লার ফার্ম। প্রতি ১ মাসে ৬০০ শত মুরগীর বাচ্চা পালন করতে মোট ৬০/৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ৩০-৩৫ দিনে মুরগী খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় পাইকারী ১৩০/১৩৫/- টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করে দেন। এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন। ১২ মাসে গড়ে প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা লাভের মুখ দেখেন। পরে তারা উপজেলা পর্যায়ে দুইটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে মোট তিনটি বয়লার ফার্মে বর্ধিত করেন।
হাবিবুর বলেন, কৃষি কাজ ও হাঁস-মুরগি পালন অত্যন্ত ভালো লাগতো। তাই মহামারী করোনায় দীর্ঘ সময় কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় প্রথমে ভাতিজা আঃ রহিমকে নিয়ে হাঁস পরে বয়লার খামার গড়ে তুলি। পরে খামার আরও বড় করি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেনারী সার্জনের সহযোগিতায় ও পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ছাড়াই বয়লার খামার পরিচালনা করে আসছি। এ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় একাধিক মুরগির ফার্ম রয়েছে। বেকার যুবকরা এমন পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলে স্বাবলম্বী হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলেছেন। তারা চাকুরীর পিছনে না ছুঁটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বয়লার ফার্ম করে এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।তবে অভিযোগ উঠেছে পোল্ট্রি ফার্মের মুরগির খাবারসহ যাবতীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় তারা হিমশিমে পড়েছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খামারীরা। কিশোরগঞ্জ প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যের দাম বেশী ও প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতার অভাবে এ উপজেলার প্রায় বেশ কয়েকটি মুরগীর খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেনারী সার্জন ডা: মোঃ নাহিদ সুলতান বলেন, চাচা-ভাতিজা আঃ রহিম ও হাবিবুর রহমান লেখাপড়ার পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক মুক্ত হাঁস-মুরগির খামার করে তারা আদর্শ খামারি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভের পাশাপাশি মাংসের চাহিদা পূরণ করে জাতীয় পর্যায়েও অবদান রেখে চলছেন।
          মোঃ রউফুল আলম
          তারিখঃ ২২/১০/২২
          ০১৭৭৪৪০৭৬৬৬